নিত্য নিউজ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পোষ্ট-পেইড বিলিং কার্যক্রম ৯ ট কম্পিউটার কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ৬ টি সেন্টার সম্পূর্ণ আউট আউট সোর্স কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করা হয় এবং দুইটি সেন্টার আংশিক আউট সোর্স কোম্পানির মাধ্যমে কাজ করা হয়। প্রতি তিন বছর পর পর এই কাজ উম্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেয়া হয়। কিন্তু দরপত্রের শর্ত এমন ভাবে দেয়া হয় যাতে চলমান ঠিকাদার ছাড়া কেউ বিড করতে পারে না। ফলে এখানে সবাই মিলে সিণ্ডিকেট করে বেশি দরে কাজ নিয়ে নেয়। সব সেন্টার মিলে ৩ বছরে প্রায় ২৫-৩০ কোটি টাকার কাজ সিন্ডিকেট করে ভাগ বাটয়ারা করা হয়ে থাকে। এই কাজ সম্পন্ন করতে যেমন পতিত বিগত সরকারের প্রভাবশালীদের হাত থাকতো এবং পিডিবির দায়িত্ব প্রাপ্তরা প্রায় ১০% টাকার ভাগ পেয়ে থাকেন। টাঙ্গাইল সেন্টার ১৫ বছরের অধিক সময় যাবত টিবিবিএস নামক একটি প্রতিষ্ঠান গত সরকারের তৌফিক এলাহির প্রভাব বিস্তার করে কাজ নিয়ে যায়। লিব্রা কম্পিউটার এইড সাবেক প্রসিডেন্ট জিল্লুর রহমান সাহেবের জামাতার কোম্পানি। এই কোম্পানিও আগে ময়মনসিংহ এবং বর্তমানে সিলেটে কাজ করে যাচ্ছে। স্টারট্রেক এবং এফআর অরবিট নামক প্রতিষ্ঠানটি দুইটি সাবেক মেয়র তাপসের আশীর্বাদ পুষ্ট কোম্পানি এবং এফআর অরবিট কোম্পানির মালিকের পিতা বি বাড়ীয়ার একটি উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন এবং আমি-ডামি সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত প্রাথী হিসাবে নির্বাচন করেন। তারা ঢাকা শহরে অনেক গুলো বারের মালিক । পিডিবির অফিসারদের মাদক এর অফার দিয়ে বারে ডেকে নিয়ে যায়। এই কোম্পানি আগে পিডিবির একজন অফিসার কে টাকা লেনদেন এর ভিডিও করে ব্লাকমেইল করেছিল। মুন্সি ইঞ্জিনিয়ার্স এবং এএ ট্রেডিং কোম্পানিটি সাবেক বিমান মন্ত্রী ফারুক খানের আশীর্বাদ পুষ্ট কোম্পানি । গত বছর জুন মাসে সর্বশেষ টেন্ডার হয় এবং আগস্ট-সেপ্টম্বারে চুক্তি হয়। সরকার পতনের পরে এরা দুই কোটি টাকা লেনদেন করে এই কাজ বাগিয়ে নেয় সিডিকেট । সর্বশেষ কাজ নিতে এদের সহযোগিতা করে সাবেক সিএসও মনিরউজ্জামান, সাবেক জিএম কমার্শিয়াল মফিজুল আলম এবং ডিজাইন-২ অফিসের পরিচালক সহিদুল ইসলাম। সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। অনেক চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু বিপিডিবি এখানে নিরব ভূমিকা পালন করছে। এই কাজ এমন কোন কাজ নয় যে মার্কেটের অন্য কেউ করতে পারবে না।