নিত্য নিউজ প্রতিবেদক:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা বগুড়ায় পালিত হয়েছে। মহাষ্টমীতে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজার বিশেষ এ পর্ব ‘কুমারী পূজা’।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিনে এক থেকে ষোলো বছরের কোনো অবিবাহিত কুমারী কন্যাকে দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। দেবীর বন্দনার পাশাপাশি কুমারী কন্যাকে মাতৃরূপে পূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। অষ্টমীতে দেবীর আরাধনায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণ কামনা করেন তারা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে বগুড়ার রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ।
পূজায় মন্দিরে ঢল নামে মানুষের। কাসার ঘণ্টা, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আর উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো হলো কুমারী দেবিকে। হাজারো ভক্ত দুর্গা মাকে জয়ধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন।
সকাল থেকেই বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ভক্ত দর্শনার্থীরা নতুন পোশাক পরে পূজা মণ্ডপে ভিড় করেন। উপোস থেকে ভক্তরা দুর্গা মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেন। পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
শাস্ত্রমতে, কুমারী নির্বাচন করে বয়স অনুযায়ী তাকে নাম দিয়ে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। এজন্য নির্বাচিত কুমারীকে বিভিন্ন আচার-নিষ্ঠা মেনে চলতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হিন্দু ধর্মীয় মতে, বয়স ভেদে কুমারীর নাম ভিন্ন হয়। এবার ছয় বছর বয়সী অনুরুপা পূজিত হন।
পুরোহিত বলেন, শাস্ত্রমতে এই বয়সে কুমারী পূজিতা হলে শুভশক্তির বিকাশ ও অশুভ শক্তির বিন্যাস ঘটে। এতে সমাজে অশান্তি দূর হয়ে শান্তি পূর্ন অবস্থা বজায় থাকে।
পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিনটি রোববার। সকালে কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দিনটি শুরু হয় এবং সন্ধ্যায় দেবীর সন্ধ্যাপূজা।
কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে তাকে দেবী মনে পূজা করে ভক্তরা।
কুমারী পূজায় দর্শনার্থী হিসেবে আসা বগুড়ার সুধীজনরা বলেন, বগুড়া সব সময় একটি শান্তিপ্রিয় জেলা শহর। এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে স্ব স্ব ধর্মীয় কাজ সম্পন্ন করে। আমরা চাই না কেউ অন্যের ধর্মের পালনে সমস্যা সৃষ্টি করুক। আমরা সকলেই মিলে মিশে চলতে চাই।