বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অনেক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু এই সংস্কারের প্রস্তাব আমরা দেশের মানুষের কাছে দুই বছর আগেই দিয়েছি।’সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে আমরা একমত না হলেও ছাড় দিয়েছি, মেনে নিয়েছি, যাতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া আগায় এবং সব দল আসে। কিন্তু ছাড় দেওয়ার অর্থ এই নয় যে অন্য ব্যাপারে ছাড় দেব। জনগণের স্বার্থবিরোধী বিষয়ে কোনো ছাড় নয়।গতকাল বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী ব্যায়ামাগারে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তারেক রহমান।তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় একটি গৌরবের বিষয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি যখন দায়িত্ব পান দেশের মানুষের কাছ থেকে, তার আগে এ দেশের রাজনীতিতে চলেছে বাকশাল। বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দল ছিল নিষিদ্ধ, একটি মাত্র দল ছাড়া।চারটি সংবাদপত্র ছাড়া প্রায় সব নিষিদ্ধ ছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবার বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছে।’নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মী হিসেবে দেশের এবং মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ব বেশি। মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে।জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার কাজ করেনি, তাই তারা পালিয়েছে।’বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বড় হওয়ার কিছু সমস্যাও আছে। আপনারা যাঁরা সংসারের বড় সন্তান, তাঁদের কিন্তু অনেক দায়িত্ব থাকে।ছোট ছোট ভাই-বোন অনেক কিছু করে পার পেয়ে যায়। বড় সন্তান হিসেবে অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়।’বক্তব্যের শেষে তারেক রহমান বলেন, ‘খুব শিগগির আপনাদের সঙ্গে দেশের মাটিতে দেখা হবে।’সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুল হক নান্নু প্রমুখ।
