নিত্য নিউজ ডেস্ক:
ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার সংঘাত যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিলো, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুজনেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে সরাসরি হত্যা করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতা.নিয়াহু ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীকে সরিয়ে দিলেই কেবল চলতে থাকা সংঘাত বন্ধ হতে পারে।আমেরিকা ইসরায়েলের এই ঘোষণায় ইরান সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলো। কারণ সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীকে হত্যার মাধ্যমে রেজিম পরিবর্তনের যে খেলা শুরু করেছিলো তাকে মোকাবেলায় ইরানের সর্বোচ্চ প্রস্ততি নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিলো না।আর সে কারনেই ইরান সম্ভবত ইরান পারমানবিক বোমার পরীক্ষামূলক সফল বিস্ফোরণও ঘটিয়েছিলো। সেটা টের পেয়েই ইরানের সঙ্গে আর টক্কর না দিয়ে যুদ্ধের ময়দান থেকে লেজ গুটাতে বাধ্য হয়েছে আমেরিকা-ইসরায়েল।আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী যেভাবে ছিলেন, এখনো সেভাবেই বহাল তবিয়তেই আছেন। মাঝখানে মাঠ ছেড়ে লেজ গুটিয়েছে আমেরিকা ও ইসরায়েল।ডোলাল্ড ট্রাম্প কিংবা নেতা.নিয়াহু, কেউই তাঁকে সরাতে পারলেন না। শেষমেষ আমেরিকাও হাত বাড়িয়েছিল খামেনীর দিকে। আমেরিকার সেই হাতও ভেঙ্গে দিয়েছে ইরান।এই মুহূর্তে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির কেন্দ্রে। এরকম একজন সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত হানার ঘোষণা যে কতটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি আমেরিকা-ইস.রায়েল।সে কারণেই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীকে সরানো তো দূরের কথা, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে লেজ গুটাতে বাধ্য হয়েছে আমেরিকা ও ইস.রায়েল।ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্তা এবং সামরিক বাহিনীর প্রধানেরা সাপ্তাহিক বৈঠকের জন্য সাধারণত তেহরানের সেই বাড়িতে গিয়েই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর সঙ্গে দেখা করেন। জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি ভাষণও দেন সেখান থেকেই।ইরানীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর দিয়েছিলো যে, ইস.রায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে ওই বাড়িতে আর সুরক্ষিত নন খামেনী।তেহরানের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম ‘ইউকে টেলিগ্রাফ’কে জানিয়েছেন, যে কোন সময় হামলা চলতে পারে তাঁর উপর। তাই তাঁর সুরক্ষার জন্য ওই বিশেষ বাহিনীর আয়োজন করা হয়েছিল।কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খামেনী তেহরানের সেই বাড়ি ছেড়ে গোপন এক ডেরায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ২৪ ঘণ্টা বাছাই করা কম্যান্ডোদের নিয়ে তৈরি বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর জিম্মায় ছিলেন।ইরানের জরুরি যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে ওয়াকিবহাল তিনটি সূত্রের মতে, বহিরাগত শক্তি যাতে সর্বোচ্চ নেতাকে খুঁজে পেতে না পারে, সে জন্যই তাঁকে ওই বিশেষ বাহিনীর দায়িত্বে রাখা হয়েছিলো।ইরানের এক উচ্চপদস্থ কর্তা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘খামেনী মৃত্যুর হাত থেকে লুকিয়ে নেই। উনি কোনও বাঙ্কারেও নেই। কিন্তু তাঁর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং তাঁর সুরক্ষার জন্য একটি বিশেষ বাহিনী আছে। এই বাহিনীর অস্তিত্ব কেউ জানেন না। তাই সেই বাহিনীতে কোনও গুপ্তচর লুকিয়ে থাকার আশঙ্কাও নেই।’ইরান-ইসরায়েল যৌথভাবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তারা ব্যর্থ হয়েছে যুদ্ধের ময়দান থেকে ইরানকে পিছু হঠাতেও।
……………………………………………
গ্লোবাল কনফ্লিক্ট অ্যানালাইসিস
…………………………………………..
