আমেরিকায় ভয়াবহ পাল্টা হামলা চালাবে ইরান নিউ ইয়র্ক-ওয়াশিংটনে রেড-অ্যলার্ট জারি

Uncategorized

নিত্য নিউজ ডেস্ক;
অবশেষে ইরান-ইস.রায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা। তেহরানের তিন পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রে মার্কিন বোমা হামলার পর ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রেডঅ্যলার্ট জারি করা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটনের মতো মার্কিন শহরগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এই মার্কিন হামলা “গ্লোবাল অর্ডার”-এর নতুন এক পরীক্ষা হিসেবে সমগ্র মানবজাতিকে নাড়া দিচ্ছে।

মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ান বলেছেন, এই হামলার জবাব হবে অতি ভয়ংকর।

পেজেস্কিয়ান বলেছেন,আমরা এমনভাবে জবাব দেব, যাতে আপনি বুঝতে পারেন বেপরোয়া কাজের পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে।” রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মতকে সে দেশের প্রশাসনের মত হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।

ইরানের সামরিক প্রস্তুতি বলছে, যে কোন সময় মেধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাবে ইরান। সরাসরি আমেরিকায় হামলা চালানোর প্রস্তুতিও শুরু করেছে ইরান।

ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইরান পাল্টা হামলা করলে ‘আরো তীব্র মাত্রার’ হামলা করা হবে ইরানে।

ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ইরান এই হামলার জবাবে পাল্টা হামলা করলে ‘আরো তীব্র মাত্রার’ হামলা করবে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প তার পোস্টে আরো লিখেছেন: “ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের পাল্টা হামলা করলে তার জবাব এর চেয়ে বহুগুণ বেশি শক্তি দিয়ে দেওয়া হবে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই হুশিয়ারিকে পরোয়া না করে ইরানের সামরিক উদ্ধৃতি দিয়ে সরকারি প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতিটি মার্কিন নাগরিক এখন ইরানের টার্গেটে পরিনত হয়েছে। আমেরিকা যে লড়াই শুরু করেছে, ইরান তা শেষ করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘সফল ভাবে’ হামলা চালিয়েছে। হামলার কথা মেনে নিয়েছে ইরানও।

‘মার্কিন শত্রুদের হামলা’ ইরানের আণবিক শক্তিধর হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে জানিয়েছে ইরানের অ্যাটোমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন।

আমেরিকার হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেস্কিয়ান হুশিঁয়ারি উচ্চারন করে বেলেছেন, “ইহুদি রাষ্ট্র ও তাঁর বন্ধুদের ক্রমাগত হামলার জবাব দেওয়া হবে। সেই প্রত্যুত্তর হবে ভয়ংকর।”

আমেরিকার হামলাকে অপরাধমূলক আচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আজ সকালে আমেরিকার আচরণ অত্যন্ত আপত্তিকর। এর সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া হবে।

তিনি আরো বলেছেন, জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যর এই ঘটনায় সতর্ক হওয়া উচিত। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক, বেআইনি এবং অপরাধমূলক আচরণ।”

ইরান অত্যন্ত জাতীয়তাবাদী ও প্রতিশোধপরায়ণ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে যখন বিদেশি শক্তি সরাসরি তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালায়, তখন ইরান হামলাকরীকে এমনি এমনি ছেড়ে দেয় না।

অতীতেও দেখা গেছে, ইরান যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে সরাসরি কিংবা প্রক্সি গোষ্ঠী ব্যবহার করে পাল্টা আঘাত হেনেছে।

আমেরিকায় সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অথবা মার্কিন ঘাঁটি বা ইসরায়েল, সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইনের মত মার্কিন মিত্রদের ওপর হামলা চালাতে পারে ইরান।

লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমের হুথি বিদ্রোহী বা ইরাকের শিয়া মিলিশিয়াদের মাধ্যমেও প্রক্সি হামলা চালাতে পারে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি, জলপ্রকৌশল এবং আর্থিক খাতেও সাইবার বিপর্যয় ঘটাতে পারে ইরান।

ইরান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে এখনই বড়সড় হামলা নাও চালাতে পারে। তবে নিশ্চিতভাবেই প্রতিশোধমূলক আঞ্চলিক হামলা, প্রক্সি যুদ্ধ ও সাইবার প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীও
বন্ধ করে দিতে পারে ইরান ।
…………………………………………….
গ্লোবাল কনফ্লিক্ট অ্যানালাইসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *