ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের বৈঠক আজ: বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আজ বুধবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের বৈঠক হবে। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক হওয়ার কথা। খবর বিবিসির।
সাক্ষাৎকালে ট্রাম্প ও মুনির একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। তবে পুরো বৈঠকে গণমাধ্যমের কাউকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হবে না।
জেনারেল মুনির ১৪ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎ আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তাঁদের মধ্যে এমন এক সময়ে সাক্ষাৎ হচ্ছে, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত চলছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা অঞ্চলটির অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জেনারেল মুনির গত মে মাসের শেষ দিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর তৎকালীন প্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেইরির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলায় বাঘেইরি নিহত হন।
ইরান–ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ুক, চায় না ৬০% মার্কিন: জরিপ
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান হামলা, পাল্টা–হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানে হামলা চালাতে পারে।
তবে প্রায় ৬০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জড়িয়ে পড়ার বিপক্ষে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভের এক জরিপে মার্কিনদের এমন অবস্থানের কথা উঠে এসেছে। খবর আল-জাজিরার।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, মাত্র ১৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তাঁরা ইরানে মার্কিন বাহিনীর হামলার পক্ষে। আর ২৪ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা এখনো বিষয়টি নিয়ে স্থির কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।
এদিকে জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক মার্কিনের মতে, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু। আর ২৫ শতাংশ বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘অবন্ধুসুলভ’।
ইসরায়েলকে নিশানা করে ফাত্তাহ-১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান: আইআরজিসি

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) বলছে, তারা গত রাতে ইসরায়েলের দিকে ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহ-১ নিক্ষেপ করেছে। বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ইরান যখন ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল, তখনো তারা বেশ কয়েকটি ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। তবে চলমান সংঘাতে ইরান সম্ভবত এই প্রথম ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল।
২০২৩ সালে ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করেন।
আইআরজিসি এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘ইসরায়েল বিধ্বংসী’ বলে উল্লেখ করেছে। এটি উন্মোচনের সময় ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বিশাল ব্যানার টাঙানো হয়েছিল, যেখানে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল: ‘৪০০ সেকেন্ডে তেল আবিবে।’
আইআরজিসি ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘হাইপারসনিক’ হিসেবে দাবি করলেও সামরিক বিশ্লেষকেরা এর প্রকৃত হাইপারসনিক সক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
অতি উচ্চগতির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র অনেক সময় বর্তমান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাড়া দেওয়ার আগেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে।
অতি উচ্চগতির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে এমন গতিতে আঘাত হানতে পারে যে, বর্তমান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা প্রতিহত করতে পারে না। এমনকি সাড়া দেওয়ার আগেই তা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথে দিকও পরিবর্তন করতে পারে।