চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক ফারজানা-শাকিল দম্পতি

Uncategorized

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা কমপ্লেক্স থেকে চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা দম্পতি। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁরা কারাগার থেকে বের হন।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগারের ডেপুটি জেল সুপার আনন্দ কুমার শীল জানান, ফারজানা রুপা কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আর শাকিল আহমেদ হাই সিকিউটি কারাগারে বন্দী আছেন।কারা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, সাংবাদিক ফারজানা রুপার মা মারা গেছেন। তাঁর মায়ের মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফারজানা রুপা ও তাঁর স্বামী শাকিল আহমেদকে চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।শাকিল আহমেদ বার্তাপ্রধান হিসেবে ও ফারজানা রুপা প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে একাত্তর টেলিভিশনে কাজ করছিলেন। গত ৮ আগস্ট তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২১ আগস্ট তাঁদের ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তরায় ফজলুল করিম নামের একজনের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।সাংবাদিক ফারজানা রুপার মা হোসনে আরা বেগম (৮০) গত মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ নগরের সেহরা ধোপাখলা এলাকার নিজ বাসভবনে মারা যান।মায়ের মরদেহের পাশে ফারজানা রুপা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ জানান, ফারজানা রুপার বাবার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া দাড়িয়াকান্দায়। প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর রাতে ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে পুলিশি পাহারায় সেখানে নেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশের গাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহের কাছে নেওয়া হয়। এ সময় তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাত নয়টার দিকে পারিবারিক করস্থানে ফারজানা রুপার মায়ের মরদেহ দাফন করা হয়। এরপর সোয়া নয়টার দিকে শাশুড়ির কবরের পাশে দোয়ায় অংশ নেন শাকিল। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ এই সাংবাদিক দম্পতিকে নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়িতে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের সময় ফারজানার হাতে হাতকড়া ছিল না। তবে শাকিলের এক হাতে হাতকড়া ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *