নিত্য নিউজ প্রতিবেদকঃ
বগুড়ার তিন উপজেলায় গড়ে উঠেছে প্রায় ৪ হাজার দেশী মুরগীর খামার। এতে স্বাবলম্বী হয়েছেন বগুড়া সদর, গাবতলী ও সারিয়াকান্দি উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষ। সামাজিক দায়বদ্ধ তহবিল থেকে সিটি ব্যাংকের ইনকিউবেটর প্রদান এবং স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কর্ম এর তত্ববোধানে এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন। স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন তারা। প্রতিটি খামারী মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন।
বগুড়া সদরের কৈচর গ্রামের নাসরিন খাতুন আজিজুল হক কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মার্স্টাস করার পর স্বামীর সংসারে বেকার জীবন যাপন করতেন। গ্রাম উন্নয়ন কর্ম এনজিও কর্মীদের সহয়তায় সিটি ব্যাংক থেকে বিনামূল্যে একটি ইনকিউবেটর পান নাসরিন খাতুন। এই ছোট হ্যাচারিতে তিনি নিজে দেশী মুরগীর বাচ্চা তুলে খামার করেছেন। গাক এর বানিয়ে দেওয়া গ্রামের অন্যদেরকে নিয়ে সমিতির সবাই এই মিনি হ্যাচারিতে ডিম এনে বাচ্চা ফুটান খরচ হিসেবে ৬ টাকা কওে দিতে হয় নাসরিন খাতুনকে। এতে তার কিছু পয়সা থাকে পাশাপাশি মুরগীর ডিম ও মুরগী বিক্রি কওে মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেন। এতে করে তার সংসাওে স্বচ্ছলতা ফিরেছে। শুধু নাসরিনেরই নয় গ্রামের অনেকে এই দেশি মুরগীর খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দক্ষিন কেচর গ্রামের সাবিনা, গফুরসহ অনেকে এই দেশী মুরগীর খামার করে মাসে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
গ্রাাম উন্নয়ন কর্ম এর সিনিয়ার পরিচালক ড. মাহবুব আলম বলেন, বগুড়া সদরের কৈচর গ্রাম ছাড়া পার্শ্ববর্তী গাবতলী ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় মুরগীর বাচ্চা ফুটানো এমন আরো ১৬ ইনকিউবেটর দেওয়া হয়েছে । সিটি ব্যাংক বিনামূল্যে এসব ইনকিউবেটর প্রদান করেছে। সমিতি করে দেয়া এবং তদারকি করছে স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন কর্ম নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।
বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরীতে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ নিয়মিত প্রশিক্ষন রোগ বালাই চিহিৃত করে ঔষধ প্রদান এবং ক্ষুদ্র ঋন প্রাপ্তিতে ব্যাংকগুলির সাথে একটি যোগসূত্র তৈরী করে দিচ্ছে। ফলে দিন দিন ক্ষুদ্র খামারের সংখ্য বাড়ছে।