অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারে যে দুই ছাত্র উপদেষ্টা (আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম) রয়েছেন, তাদের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। তারা (দুই ছাত্র উপদেষ্টা) গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময়ে সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম।শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, তারা (আসিফ-মাহফুজ) যদি রাজনীতি করতে চান, নির্বাচন করতে চান, তাহলে তারা সরকারে থেকে সেটা পারবেন না। তখন তারা সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন।জুলাই সনদ, সংস্কার, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ও তার সংশ্লিষ্টদের বিচার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।এতে জনমনে ও রাজনৈতিক দলগুলো স্বস্তি বা আস্থা পাবে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে এনসিপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের একটি তালিকা গত ২২ মে প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এই তালিকার বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যে তালিকা করা হয়েছে, সেটি যদি আরো আগেই, ৫ আগস্টের পরপরই প্রকাশ করা হতো, তাহলে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য আসত না।এ ছাড়া আমাদের রাজনীতির সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্কের ঘটনা এর আগে ঘটেছে। আমরা ওয়ান-ইলেভেনের মতো ঘটনা দেখেছি। এগুলো কারো জন্যই ভালো ফল বয়ে আনেনি। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।