আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী পালন শেষে মসজিদেই সেহরি

ইসলামিক ধর্মীয় নিত্য তথ্য বগুড়া

নিত্য নিউজ বিশেষ প্রতিবেদন:

লাইলাতুল কদরের রাতে,

আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী পালন শেষে মসজিদেই সেহরি

পবিত্র রমজান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রাতটি হচ্ছে লাইলাতুল কদর। প্রতি বছর এই সময়টিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগীতে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ২৭শে রমজানে বগুড়ায় মসজিদে মসজিদে সারারাত চলে নামাজ, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, হাদিস পাঠসহ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর উপর দরুদ পাঠ। এ সময় প্রায় প্রতিটি মসজিদেই সেহরির আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বগুড়ার নারুলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এবং কৃষি ফার্ম জামে মসজিদে আয়োজন করা হয় সেহরির। ইবাদত বন্দেগী শেষে বগুড়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার আলু ঘাটি সহযোগে সেহরি সম্পন্ন করেন এখানকার শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।

এর আগে মসজিদে শবে কদর সম্পর্কে ইমাম সাহেব তার বয়ানে বলেন, লাইলাতুল কদর রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যে কোনো বেজোড় রাতেই হয়। তবে প্রতি রমজানে একই রাতে হয় না। বরং ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ মাহে রমজানের এ দিনগুলির মধ্যে কদরের রাত আবর্তিত হয়।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আল্লাহ এরশাদ করেছেন, ‘রমজান হলো সে মাস, যাতে কুরআন নাজিল করা হয়েছে। ’ (সুরা বাকারা, ১৮৫ আয়াত) পবিত্র কুরআন কদরের রাতে নাজিল হয়েছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পবিত্র কুরআনের সুরা কদরের প্রথম আয়াতে এরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি কদরের রাতে।” যে রাতের কারণে মাহে রমজান বছরের অন্যান্য ১১টি মাস অপেক্ষা মর্যাদাপূর্ণ ও মহিমান্বিত হয়ে গেল, সেই কদরের রাতের মর্যাদা যে অসীম হবে সেটাই স্বাভাবিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *