ডেস্ক রিপোর্ট :
যমুনা রেল সেতু যা সিরাজগঞ্জ জেলার সাথে টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলাকে যুক্ত করেছে। যমুনা নদীর উপর যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উত্তরে অবস্থিত এই পৃৃৃৃথক রেল সেতুর নির্মাণ কাজ বর্তমানে শেষ হয়েছে।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা উদ্বোধনের। এটি বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম রেলওয়ে সেতু।
২০২০ সালের অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী বিদ্যমান যমুনা সেতু দিয়ে দিনে ৪৪টি ট্রেন চলাচল করে। সেতুটিতে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলতে না পারায় এবং সিঙ্গেল- ট্রাক রেলপথ হওয়ায় সেতু পার হতে অধিক সময় খরচ হয়। এরে ট্রেনগুলো শিডিউল বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়ে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে চলা একটি ট্রেন সেতুটির পূর্ব পাশের স্টেশন থেকে পশ্চিম পাশের স্টেশন এ পৌঁছতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় নেয়।
এছাড়াও সেতুটিতে ওজন সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে ভারী পণ্যবাহী ট্রেন চলতে পারে না। যমুনা রেলওয়ে সেতুতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর গন্তব্যে পৌঁছার সময় গড়ে ২ ঘণ্টা কমে যাবে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ বগিতে সহজে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনেও এ সেতুটি কাজে লাগবে। এ ছাড়াও সেতুটি সার্ক, বিমসটেক, সাসেক ও অন্যান্য আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রেলওয়ে রুট এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলপথ নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। সেতুটি নির্মাণ হলে যমুনা সেতুর রেলপথ তুলে ফেলা হবে।