নিত্য নিউজ ডেস্ক:
রোগের পরীক্ষা না করেই রোগী বা রোগীর আত্নীয় স্বজনকে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার দিগন্ত ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেন্ট সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।শুধু তাই নয় রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার যে মূল্য তালিকা প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে তাঁর চেয়ে অধিক মূল্য গ্রহণ, প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান না করা, ক্লিনিক ক্যাটাগরি অনুযায়ী সি ক্যাটাগরি হওয়া সত্ত্বেও এ এবং বি ক্যাটাগরির সেবা প্রদানের কথা বলে রোগী বা রোগীর স্বজনদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এ ডায়াগোনেস্টিকের বিরুদ্ধে।
বুধবার, বিকালে নির্বহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিয়ান মুনসীফ এবং জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাশহুরুল আলম , শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে অবস্থিত দিগন্ত ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেন্ট সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করেন।এসময় তারা দেখেন, সব ধরনের রোগের প্রায় একই রকম পরীক্ষা পরীক্ষা নির্দেশ দেওয়া হয়।এরপর রোগ নির্ণয়ের জন্য স্যাম্পল কালেকশন করা হলেও সেগুলো পরীক্ষা না করে কালক্ষেপন করে রোগী বা রোগীর স্বজনদের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করা হয়।এমনকি ক্লিনিকের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য কোন রকম রি-এজেন্ট ও নেই।এছাড়াও রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার যে মূল্য তালিকা প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে তাঁর চেয়ে অধিক মূল্য গ্রহণ, প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান না করা, ক্লিনিক ক্যাটাগরি অনুযায়ী সি ক্যাটাগরি হওয়া সত্ত্বেও এ এবং বি ক্যাটাগরির সেবা প্রদানের কথা বলে রোগী বা রোগীর স্বজনদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সত্যতা প্রমাণিত হয়।এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকেদেড় লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফজিলেতুন্নেসা ফৌজিয়া বলেন, বগুড়ায় ভোক্তা অধিকার নিয়ে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় অনেক বেসরকারি ক্লিনিক নানাভাবে অনিয়ম করে সেবা নিতে আসা রোগীদের হয়রানি করছে। তাদের মধ্যে “দিগন্ত ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার অন্যতম। এই ক্লিনিকের মালিক তার ক্লিনিকের ডাক্তারদের দিয়ে রোগীদের প্রয়োজন ছাড়াই অতিরিক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বাধ্য করেন।