বিশেষ প্রতিনিধি: রাশেদ নিরব
শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবছর বগুড়াতে ৬২৮ টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। গত ২ অক্টোবর মহালয়ার দিন দেবীর মর্ত্যলোকে আবির্ভাব ঘটে। আজ বুধবার দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হলো পাঁচ দিন ব্যাপী দুর্গা উৎসব।
সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে বেলগাছের নিচে শুরু হয় দেবির ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। মন্ত্রপাঠে হয় দেবী আবাহন। সন্ধ্যায় হবে আমন্ত্রণ ও অধিবাস।
সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী ও ১২ অক্টোবর মহানবমী। এরপর ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের।
শাস্ত্রমতে, এবার দেবীর আগমন ঘটছে দোলায়। এর অর্থ পৃথিবীতে রোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা হানাহানিতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। দেবী গমন করবেন ঘোড়ায়। এর ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, অস্থিরতা দেখা দিতে পারে মর্ত্যলোকে ।
সারা দেশে এ বছর ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে এ বছর ২৫২টি এবং বগুড়া জেলাতে ৬২৮ টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে, শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। সরকারের নির্বাহী আদেশে একদিনসহ টানা চার দিনের সরকারি ছুটি উৎসবের আমেজ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্বপালন করবেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এছাড়াও প্রতিটি পূজা মন্ডপে পূজা কমিটি থেকে ভলেন্টিয়ার সহ সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘এবারের দুর্গাপূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। এ জন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই। প্রতিবার তো পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকে, এবারে বাড়তি দল র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে।