নিত্য নিউজ প্রতিবেদক:
বগুড়ার ধুনটে মাছবাড়ীতে একনারীর বাড়ীতে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন প্রতিবেশী শাহীন নামের এক যুবক। মারাত্বক আহত অবস্থায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান ঘটনার কথা তিনি জেনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেহ অভিযোগ দায়ের করেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছী গ্রামের সরকার পাড়া এলাকার মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে শাহীন মিয়া একই ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের মৃত মধু সরকারের মেয়েকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন যাবৎ শশুরবাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করছে। অপরদিকে মাজবাড়ী গ্রামের নজরুল মিয়ার ছেলে দিনমজুর মিঠু মিয়া স্ত্রী শাহিদা খাতুন (৩৮) কে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একুই এলাকার বড়ুইতলী (গুচ্ছগ্রামে) বসবাস করে আসছিলো। পাশাপাশি বসবাস করায় মিঠু মিয়ার স্ত্রী শাহিদা খাতুনের সাথে শাহীন আলমের সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি শাহিদার নিকট থেকে ২ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল শাহিন আলম। টাকা ধার নেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সেটা আপোষ মিমাংসা হওয়ার পর শাহিদার স্বামী মিঠু মিয়া কর্মের তাগিদে বাইরে থাকার সুবাদে পুর্বের ন্যায় সু সম্পর্কের কারনে শহিদার বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে শাহীন আলম। ঘটনার দিন রাতে অজ্ঞাত কোন কারনে শাহীন আলমকে ডেকে নেয় শাহিদা খাতুন। পরে শাহিদা নিজে শাহীন আলমের গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে বলে স্থানীয়দের কে জানিয়ে রাতেই পালিয়ে যায় শাহিদা।
শাহীন আলমের বৈবাহিক সম্পর্কীয় বড় ভাই রিপন মিয়া জানান, শাহিদা খাতুন ঠিক কি কারনে আমার বোন জামাইকে মেরেছে সে সম্পর্কে আমি অবগত না। ঘটনার দিন রাতেই আমার বোন জামাই আমাকে জানায় অন্তত ৫/৬ জন তাকে ধরে খুটির সাথে আটকিয়ে জোড় করে গোপনাঙ্গ চাকু দিয়ে ফেঁসিয়ে ফেঁসিয়ে কেটে দেয়। এক পর্যায়ে আমার বোন জামাই প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে আসে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহিদার হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র (ধারালো দা) দেখতে পাই। বোন জামাইকে বাঁচানোর তাগিদে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার বোন জামাইয়ের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তৎক্ষনাত থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় পরের দিন শুক্রবার আমি বাদি হয়ে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল আলম জানান, অভিযোগটি হাতে পেলে তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।